রাত তখন গভীর। বারান্দায় জ্যোৎস্না পড়েছে চাদরের মতো। তার মাথা আমার বুকের ওপর, আঙুলে আমার বুকের বোতাম খুলে দিচ্ছে ধীরে ধীরে...
"জানো?" সে ফিসফিস করল, "তোমার হৃদস্পন্দনের শব্দ শুনলে আমার দেহে বিদ্যুৎ খেলে যায়।"
আমার হাত তার কোমরের নিচে সরে গেল। কাপড়ের নিচে ত্বকটা গরম, কাঁপছে মৌমাছির পাখার মতো। সে আমার কান্না কেটে বলল, "যত্ন করো... আমি এখনো ভাঙা কাচের মতো।"
আমি থামলাম। তার চোখে জল? না, জ্যোৎস্নার প্রতিফলন?
"ভয় পেয়ো না," আমি বললাম, "আমি শুধু তোমার তাপ খুঁজছি..."
তার নিঃশ্বাস আমার গলায় লেগে মিশে গেল। আমরা তখন মেঝেতে — দুটি তারারা নেমে এসেছে পৃথিবীতে। তার নিতম্বের বক্রতায় হাত রাখতেই সে গভীর এক শব্দ করল, যেন কেউ বাজালো বেহালার গভীরতম তার।
চাঁদ তখন লজ্জায় মেঘের আড়ালে.....
সেই রাতের পর...
ভোরের রোদ যখন জানালা দিয়ে উঁকি দিল, সে ঘুমিয়ে ছিল আমার বাহুতে। তার চুল ছড়ানো ছিল আমার বুক জুড়ে, যেন সোনার নদী। আমি আঙুল দিয়ে ঠিক করলাম ওর ভ্রুর কুঞ্চিত রেখা—স্বপ্নে কি যুদ্ধ করছিল?
তার চোখ খুলতেই আমি বললাম, "ভোর হয়ে গেছে..."
সে হেসে ওঠল, "কিন্তু রাতের কথা ভোলিনি। যখন তুমি বলেছিলে—"
"—বলেছিলাম তোমার ত্বকে চাঁদের আভা লেগেছে?" আমি ওর হাত চেপে ধরি।
ওর গালে লাল ছোপ ফুটে উঠল। সে উল্টো হয়ে শুয়ে আমার বুকের উপর চিবুক রাখল। "তোমার হাত... গত রাতে যেমন আমার পিঠে লিখেছিলে, আজও লেখো..."
আমি আঙুল বুলিয়ে দিলাম ওর মেরুদণ্ড বরাবর—একটা অদৃশ্য কবিতা। সে কাঁপল। শুধু বলল, "এটাই যথেষ্ট... এখনও কাঁপি তোমার স্পর্শে।"
তারপর আমরা উঠলাম। সে আমার শার্টটা পরে নিল। ঢিলে কাপড়ে তার শরীর ঢেকে গেলেও... চোখে জল ছিল সেই রাতের স্মৃতি। রান্নাঘরে যখন কফি বানাল, আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতেই সে মাথা হেলাল আমার কাঁধে। শরীরের স্মৃতি তখন ভাষাহীন, কিন্তু উষ্ণ।
সকালের আলোয় আমরা কথা বলিনি। শুধু জানতাম:
ওর নিঃশ্বাসে এখন আমার নাম মিশেছে,
আর আমার হাতে জেগেছে তার শরীরের ভাষা... ❤️